পেঁপে
#পেঁপে
#অমিতাভ_ব্যানার্জী
"পাখি পাকা পেঁপে খায়!!!
বাবা দেখেছো? পাখিও পাকা পেঁপেই খায়। আর তুমি বাজারে গেলেই খালি কাঁচা পেঁপে নিয়ে আসো। বলোতো কাঁচা পেঁপে কেউ খায়?" সুজয় বললো। সুশীলবাবু উত্তর দিলেন, "কি করি বল? আমার তো ইচ্ছেই করে কিন্তু তোর মা তো পাকা পেঁপে সহ্যই করতে পারেনা। দেখলেই ক্ষেপে যায়, কোন সাহসে আনি?" সুমিতা দেবী রান্নাঘর থেকে ফুট কাটলেন, "এহ্ পঁয়তিরিশ বছরের ছেলে, বাচ্চার বাবা হয়ে গেল, কোথায় পাঁচ বছরের বাচ্চাকে সবজি টবজি খাওয়া শেখাবে, তা নয় উল্টে উনি কিনা বাবাকে বাজার থেকে পেঁপে আনা নিয়ে কথা শোনাচ্ছেন। আর তোমাকেও বলিহারি ওই পাঁকা পেঁপের শোক আর গেল না। উফফ্ কি বিটকেল গন্ধ, তার সাথে ওই শেয়ালের ইয়ের মত রঙ। মানুষে খায় কি করে?" ছেলে তেড়ে উঠে বললো, "দেখো মা, তোমরা খাবে না খাবে না, ঠিক আছে, তা বলে খাবার জিনিসকে অমন শেয়ালের ইয়ে টিয়ে বললে কিন্তু ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। তাছাড়া শেয়ালের ইয়ে তুমি দেখেছো? আচ্ছা, তুমিই বলো তো মা, বাজারে সবজির দোকানে কাঁচা পেঁপের ঝুড়িটা দোকানের বাইরে রাখে কেন?"
মা চুপ, জানে ছেলে কিছু একটা ভুলভাল তত্ত্ব খাড়া করবে। ওদিকে বাবা মিটি মিটি হাসছে। বৌমা সুরভী বললো, "কেন আবার রাখবে? কাঁচা পেঁপের কষগুলো যাতে বাইরেই পড়ে, বা শুকিয়ে যায় তাই।" সুজয় উত্তর দিলো, "মোটেই তা নয়, তোমরা কিসস্যু জানো না। আরে! দোকানদাররাও জানে যে কাঁচা পেঁপে খুব বেশি মানুষে খায় না, কিনবে তো ওই তোমাদের মত কটা মাত্র লোক, তাই বাজারের গরু ছাগল যদি কিছু তুলে নেয় তবে, প্রাণী গুলো খেয়েও বাঁচলো আর পুণ্যি অর্জনও হলো।"
সুরভীর আর সুশীলবাবুর হো হো করে হাসি দেখে সুমিতাদেবী ছদ্ম রাগ দেখিয়ে বললেন, "ঠিক আছে, ঠিক আছে, তোকে পেঁপে খেতে হবে না। আসিস পেঁপের প্লাস্টিক চাটনি আর পেঁপের হালুয়া খেতে, এক ফোঁটাও দেব না।" সাথে সাথে সুজয় রণে ভঙ্গ দিলো, বললো, "ওই তো, কিছু বললেই তুমি খাওয়া বন্ধ করার ভয় দেখাবে, আরে, মিষ্টি আর তরকারী কি এক হলো? ধুর! যারা কাঁচা পেঁপে ভালোবাসে তাদের সাথে কথা বলার কোনো মানেই হয় না।" সুমিতাদেবী সাথে সাথে তেড়ে উঠলেন, "কিইই? আমার সাথে কথা বলার মানেই হয় না? দাঁড়া! দেখাচ্ছি মজা!" সুশীলবাবু তাড়াতাড়ি মা ছেলের মাঝে ঢুকে পড়ে বললেন, "আচ্ছা, আচ্ছা, ঠিক আছে, শান্তি! শান্তি! তোমরা কি পেঁপে নিয়ে একটা গল্প শুনবে?" সুরভী সাথে সাথে বলে উঠলো, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, বাবা, বলুন তো, একটু গল্প শুনি, আপনার ছেলের এই সব আজে বাজে কথা থেকে তো বাঁচা যাবে।" ওদিকে ছোট্ট শুভও বলে উঠলো, "দাদ্দু, বলো বলো গল্প বলো, আম্মো শুনবো।" সুজয় বললো, "ঠিক আছে, গল্পই শুনি নয়, দেখি পেঁপের কি মহিমা।" সুমিতা দেবী বললেন, "হ্যাঁ,হ্যাঁ, গল্পই করো তোমরা। আমার তো আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই, তোমার ঐ আদ্যিকালের গল্প শোনার জন্য। সুরভী, গল্প শুনতে শুনতে একটু সকালের বাজারটা গুছিয়ে দাও তো, আমি লুচিটা ভাজি।" সুরভী উত্তর দিলো, "হ্যাঁ, দিচ্ছি মা।"
সুশীলবাবু বললেন, "মহিমাই বটে, জানিস, বিদেশে পেঁপে থেকে বোরোলিনের মত স্কীনক্রিমও হচ্ছে।" সুজয় বাধা দিয়ে বললো, "ছাড়ো ওসব কথা, গল্পটাই শুনি।" সুশীলবাবু উত্তর দিলেন,"আচ্ছা, ঠিক আছে, গল্পটাই শোন তোমরা, তার সাথে একটু চা দাও তো, গলাটা ভিজিয়ে নি।" এই বলে উনি রান্নাঘর লাগোয়া ডাইনিং হলে এসে বসলেন। সুমিতা দেবীও বললেন,"আচ্ছা,দিচ্ছি।"
সুশীলবাবু শুরু করলেন, "তোমরা তো জানো, পড়াশোনা আর চাকরি করতে এই কলকাতায় আসার আগে আমার ছোটবেলাটা কেটেছে আসানসোলের কাছে, সিতারামপুরের ভাড়াবাড়িতে। আমাদের পাড়ায় এক রায়বাবু ছিলেন, পাড়ায় তাদের দোতলা বাড়ি ছিল, তিনি ই সি এলের বড়বাবু ছিলেন, তার তিন ছেলে, তিন জনেই কলকাতায় পারিবারিক ব্যবসা দেখতো বা পড়াশোনা করতো। রায়বাবু স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন, ওদের বাড়িতে রাম প্রসাদ বলে একজন বিহারী লোক সবসময়ের জন্য থাকতো। তা তখন আমার বয়স ওই বছর চোদ্দ পনেরো হবে। ওই রাম প্রসাদ বিয়ে থা করেনি। একবার সে ওর দেশের বাড়ি থেকে ওরই ভাইপো কে নিয়ে এলো, এই বাড়িতে ওর সাথে থাকার জন্য। ছেলেটা আমাদের থেকে দু এক বছরের বড়ই হবে। বাবা মা নেই। আমরাও মাঠে একটা খেলার সঙ্গী পেলাম। বন্ধুত্বও হয়ে গেল। ছেলেটার নাম ছিল প্রেম প্রসাদ, লেখাপড়া ওই ক্লাস এইট অবধি, আমাদের ওখানে এসে আর পড়াশোনা করেনি। এর বছরখানেক পর রায়বাবু রিটায়ার করে কলকাতায় চলে গেলেন পরিবার নিয়ে, সাথে রাম প্রসাদকেও নিয়ে গেলেন। ওই দোতলা বাড়ি দেখাশোনা করা আর পাহারা দেবার জন্য একতলার একটা ঘর প্রেম প্রসাদকে দিয়ে গেলেন, সামান্য কিছু মাসোহারার বিনিময়।"
একটানা বলে সুশীলবাবু বৌমার আনা চায়ে চুমুক দিলেন। সুজয় জিজ্ঞেস করলো, "অত টুকু ছেলেকে দোতলা বাড়ি পাহারা দিতে রেখে গেল?" সুশীলবাবু বললেন, "হ্যাঁ, তখন ওরকম হত, তাছাড়া ওর তখন প্রায় আঠেরো উনিশ হবে, বেশ শক্ত সমর্থ গাট্টা গোট্টা চেহারা। আমাদের পাড়াটাও ছিল ঘন বসতি তাই ভয়ের কিছু বিশেষ ছিল না।" সুরভী বললো, "তবু চুরি ডাকাতি তো হতে পারতো? শুনেছি ওসব অঞ্চলে নাকি আগে খুব ডাকাতি হত।" সুশীলবাবু উত্তর দিলেন, "তা হত, আমাদের পাড়াতেই বার দুয়েক চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ওই বাড়ি তো ফাঁকা, জিনিস বলতে তো ওর ঘরে একটা চৌকি, একটা চাদর, কিছু জামাকাপড়, গামছা, বালতি, লোটা, কম্বল, সামান্য কিছু লোহা আর হ্যান্ডোলিয়ামের বাসন, আর একটা উনুন ব্যাস। কিই বা চুরি করবে? আর কিই বা ডাকাতি করবে?" সুজয় আবার জিজ্ঞেস করলো, "ওই টাকায় ওর চলে যেত?" সুশীলবাবু বললেন, "প্রথম প্রথম যেত, কিন্তু কয়েকমাস পর বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়লো, টাকাপয়সা নিয়মিত আসতো না, কাজ কর্ম ও নেই, ওর তখন নুন আনতে পান্তা ফুরাবার মত অবস্থা।" সুরভী জিজ্ঞেস করলো, "পাড়ার লোক কিছু সাহায্য করতোনা?" সুশীলবাবু উত্তর দিলেন, "প্রথম প্রথম আমরা খাবার দাবার দিতাম, কিন্তু একে তখন ওই পাড়ায় সবারই অবস্থা খুব সাধারন, আর একটা সমর্থ ছেলেকে কেউ কদিন খাওয়াবে?"
সবাই চুপ। সুশীলবাবু বলে চললেন, "বছর খানেক এভাবে চলার পর, ওর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো, দামোদর পার হলেই বাঁকুড়া, ওখান থেকে ও গামছা এনে আমাদের শহরে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে থাকলো, আর ওই বাড়ির বিরাট উঠোনে অনেকগুলো পেঁপে গাছ লাগালো। এবার ওই গামছা বিক্রির পয়সায় চাল, ডাল, নুন, তেল কিনত। আর বাকি ওই পেঁপে পেড়ে তাই খেত।" সুজয় চমকে উঠে বললো, "শুধু পেঁপে খেত! কি করে?" সুশীলবাবু হেসে বললেন, "কি করে আবার? বেশিরভাগ সময় সেদ্ধ করে। আর মাঝে মধ্যে হাতে পয়সা এলে তরকারি করে। আলু, পেঁয়াজ কখনো সখনো শখ করে খেত। আর সুযোগ পেলে যেখানেই পুজোর ভোগ পাওয়া যেত, সেখানেই খেয়ে আসতো। এত্তো পেঁপে খেতো যে পাড়ায় ওর নাম 'পেঁপে' হয়ে গেল।" এই শুনে সুমিতাদেবী ফিক ফিক করে হেসে উঠলেন। তৎক্ষণাৎ সুশীলবাবু বলে উঠলেন,"এই যে বললে তুমি আদ্যিকালের গল্প শুনবে না। তাহলে হাসছো কেন?" সুমিতাদেবী হেসে বললেন, "কি করবো কানটা তো আর বন্ধ রাখা যায় না।"
সুশীলবাবুর চা শেষ হয়ে গেছে। ওদিকে লুচি তরকারীও চলে এসেছে। উনি বললেন, "এই রকম সময় আমিও পড়াশোনা করতে কলকাতায় চলে এলাম, মাঝে মাঝেই বাড়ী যেতাম, তখন ওর সাথে দেখা হত। ইতিমধ্যে ও বিয়েও করে ফেলেছে। এইবার দারিদ্র আরো চেপে বসলো। পেঁপে কিন্তু হারার পাত্র নয়, ও তখন আরো পেঁপেগাছ লাগালো আর বাজারে কখনো পাকা কখনো কাঁচা পেঁপে বিক্রি করতে থাকলো। লোকসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে গামছার ব্যবসাও কিছুটা বাড়ল। এতে অন্তত দুজনের কোনো মতে চলে যাচ্ছিল।" সুরভী জানতে চাইলো, "বউকেও পেঁপে খাইয়ে রাখতো?" সুশীলবাবু আবারও হেসে বললেন, "উপায় কি? আর কিছু খাওয়াবার ক্ষমতা ছিল নাকি?"
সুশীলবাবু একটা লুচির টুকরো মুখে ঢুকিয়ে একটু খানি চুপ করে চিবালেন, তারপর বললেন, "এর মধ্যে আমিও কলেজ পাস করে ছুটিতে বাড়ি গিয়েই পেঁপের দেখা পেলামনা, ওর বউ জানালো, কোনো এক মিউনিসিপ্যালিটির বাবু ওকে নাকি কাজ দিয়েছে। কদিন পর ওর সাথে দেখা হলো, জানলাম কে এক ওর চেনা লোক ওকে মিউনিসিপালিটির ড্রেন পরিষ্কার করার কন্ট্রাক্ট দিয়েছে। ওও তাতেই লেগে গেছে। কিছু আয় হচ্ছে, এদিকে গামছা আর পেঁপের ব্যাবসাতেও বউ ওকে সাহায্য করছে। এখন পেঁপের মত গামছাও ওরা বাজারের দোকানেই সাপ্লাই করে। নিজে আর ঘুরে ঘুরে বেচে না।" সুমিতাদেবী বললেন, "বাঃ বেশ করিত কর্মা তো!" সুশীলবাবু বললেন, "করিত কর্মা বলে করিত কর্মা! এরপর আমিও চাকরি পেয়ে কলকাতায় চলে এলাম, ক'বছর পর বাবাও রিটায়ার করলো। বাবা মাকে কলকাতায় নিয়ে আসার সময় আমাদের সিতারামপুরের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে সব কিছু কলকাতায় নিয়ে এলাম। ওই সময় ওখানে কিছুদিন ছিলাম, তখন জানতে পারলাম পেঁপে নাকি মিউনিসিপালিটির সিভিল রিপেয়ারিং এর কাজ ধরেছে।"
সুজয় অবাক হয়ে বললো, "বাপরে! খুব কাজের লোক তো!" সুশীলবাবু বললেন,"তা তো অবশ্যই। তারপর বহু দিন আমার আর ওখানে যাওয়া হয়নি, বছর কুড়ি আগে একবার যে তোদের নিয়ে গেলাম, মনে আছে?" সুজয় উত্তর দিলো, "হ্যাঁ, মনে আছে, তোমার কোন এক দিদির মেয়ের বিয়ে ছিল।" সুশীলবাবু খুশি হয়ে বললেন, "হ্যাঁ, সেবার জানলাম যে পেঁপে নাকি তখন বড় কন্ট্র্যাক্টর। আসানসোল সাবডিভিসানের প্রচুর সিভিলের কাজ ও ধরছে। আর ওই দোতলা বাড়িটাও নাকি রায়বাবুর ছেলেদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। পেঁপে আর সেই পেঁপে নেই এখন সবাই তাকে প্রেম প্রসাদ হিসেবেই চেনে।"
সুমিতাদেবী বলে উঠলেন, "দেখেছো? লেখাপড়া না শিখেও নিজের চেষ্টায় কতদূর যাওয়া যায়!" সুশীলবাবু হেসে বলতে থাকলেন,"সে গল্পই তো বলছি, একজন জীবনে কতদূর এগোতে পারে?" সুরভী বলে উঠলো, "তারপর আর কোনো খবর পাননি?" সুশীলবাবু বললেন, "হ্যাঁ, ওই যে গত বছর আমি রিটায়ার করার পর তোমাদের মাকে নিয়ে সেই দিদির নাতনির বিয়ে খেতে গেলাম। সেবার পেঁপে মানে প্রেম প্রসাদের সাথে দেখা হলো। এখন তো বিরাট ব্যাপার! ওর বাড়ি গেলাম, বাড়িটা এখন চেনাই যায়না, চারতলা করেছে, লিফ্ট বসেছে। ঘুরে ঘুরে দেখালো। কতকিছু খাওয়ালো। ওর দু ছেলে দুজনকেই নিজের দুটো আলাদা ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে, বিয়ে দিয়েছে, নাতি নাতনির ভরা সংসার। সেই বুড়ো রাম প্রসাদ কাকাকে এনে রেখেছে। তবে মানুষটা প্রায় একই আছে, এখনো ভালো বাংলা বলতে পারে না।" সুজন বলে উঠলো, "অ্যাঁ! এখনো বাংলা জানেনা?"
সুশীলবাবু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "হ্যাঁ, জানেনা। জানার তো দরকার পড়েনি কখনো। আসানসোল অঞ্চলে প্রচুর অবাঙালি আর আমরাও ওর সাথে হিন্দিতেই কথা বলতাম। তাই ও বাংলা বলতে শেখেনি। তবে বোঝে সব।"
সুমিতা দেবী বললেন, "নাও! এবার তোমার পেঁপের গল্প শেষ করো। সবার খাওয়া শেষ। এবার তো আমাদের ঘরের কাজগুলো সারতে হবে নাকি?" সুশীলবাবু বললেন,"হ্যাঁ, হ্যাঁ, এইতো, পেঁপের আসল কথাটা বলে নি।" সুজয় বললো, "মা, একটু দাড়াও না, কাজ তো করবেই। গল্পটা শুনে নি। বাবা, তারপর বলো।"
সুশীলবাবু আবার শুরু করলেন, "আমরা ওই বাড়ির নতুন করে সাজানো বড় ঘরে বসেছিলাম। ও অনেক কথা বললো। কিন্তু একটা ব্যাপারে খুব খারাপ লাগলো। প্রথম জীবনে প্রায় আধপেটা খেয়ে খেয়ে ওর নাকি পেটের অবস্থা খুব খারাপ। নিজে আর ভালো মন্দ খেতে পারেনা। জিজ্ঞেস করলাম ডাক্তার কি বলছে। বললো 'ডক্টর কেয়া বোলেগা? বোলতা হ্যায়, হালকা ফুলকা খাও। ডক্টর কো কেয়া পাতা কি হাম জিন্দেগী ভর হালকা ফুলকাই খায়া।' তারপর ও সেই মোক্ষম কথাটা বললো যার জন্য আমার এই পেঁপের গল্প। তোমরাও দেখো একটা মানুষ যত ওপরেই উঠুক শেষ অবধি কতদূর যেতে পারে।"
সুরভী বলল, "কি কথা?"
সুশীলবাবু একটু দম নিয়ে উত্তর দিলেন,
"যব্ প্যায়সা নেহি হ্যায় তব্ ভি পাপিতা,
যব্ প্যায়সা হ্যায় তব্ ভি পাপিতা!"
(#অমিতাভ)
Comments
Post a Comment